বিদ্যালয় পরিচিতি :

পদ্মা-বিধৌতো বাংলাদেশের একটি প্রধান বিল চলন বিল। এই বিলের উপকণ্ঠে বহমান গুমানি নদীর দক্ষিণ পাড়ে হিন্দুপ্রধান জনপদ অষ্টমনিষা যা ক্ষণজন্মা আটজন মুনি ঋষির সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে এই অঞ্চলের তদানীন্তন বিজ্ঞরা অত্র গ্রামের নাম রাখেন অষ্ট মনিষা।বর্তমানে এলাকার বিদ্যুৎ শাহী ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে জানা যায় ব্রিটিশ আমলে গ্রামের মধ্যস্থিত অষ্ট মনীষা বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। কালের পরিক্রমায় এলাকার বিশিষ্ট দানবীর বাবু পূর্ণচন্দ্র চাকির দানকৃত ভূমিতে১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে অষ্ট মনীষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি স্থাপন পরবর্তী বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি এলাকার অন্যতম বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়।এ বিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশমাতৃকার সেবায় অসামান্য অবদান রাখছেন।স্বল্প পরিসরে তাদের কয়েকজনের পরিচিতি নিম্নরূপ তাদের মধ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত পরিতোষ রায় চৌধুরী,আবুল কাশেম, মৃত আব্দুল লতিফ এবং মৃত লসের উদ্দিন, মেজর জেনারেল( অবসর) ফসিউর রহমান, অধ্যাপক বিকাশ চন্দ্র সরকার, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাকিলুর রহমান সোহান (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) সহ আরো অনেকে। বিদ্যালয়টি অষ্টমনীষা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দ্বিতল অপরটি একতলা ভবনের মাধ্যমে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম ও সহপাঠ্য ক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।